প্রকাশিত: ০৬/০১/২০১৯ ২:০৪ পিএম , আপডেট: ০৬/০১/২০১৯ ২:০৭ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
ভারত থেকে মিয়ানমারে নতুন করে পাঁচ সদস্যের রোহিঙ্গা পরিবারকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থার বিবৃতিতে আক্ষেপ জানিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ না থাকা সত্ত্বেও ওই রোহিঙ্গাদেরকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এদের বেশিরভাগই বসবাস করছে আশ্রয় শিবিরে। আবার অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে অনেককে রাখা হয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে তাদের ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে কারাভোগ করা সাত রোহিঙ্গাকে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় ভারত। গত ৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানের পরিবারটিকে উত্তর-পূর্ব আসামে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারাভোগও করেছে তারা।

ভারত থেকে রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আটক থাকা ব্যক্তিদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং তারা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসিত হতে চায় কিনা সে ব্যাপারে পর্যালোচনা করার সুযোগ দিতে ভারত সরকারকে বার বার অনুরোধ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলো। প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ না থাকা সত্ত্বেও গত অক্টোবরে সাত রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।’

প্রথম দফায় সাত রোহিঙ্গাকে ভারত থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই ভারতীয় আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মনে বিতাড়নের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেসময় আসাম সরকার জানায়,তারা আরও ২৩ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে। এরপরই ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতে অনুপ্রবেশকারী আরও ২২ রোহিঙ্গা আসামের বিভিন্ন জেলে কারাদণ্ড ভোগ করছে। মিয়ানমার তাদের পরিচয় সনদ মিয়ানমারে পাঠালে তাদেরকেও ফেরত পাঠানো হবে।

পাঠকের মতামত

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...